নিত্য দিনের নানা প্রাকৃতিক কাজের মতো সেক্স স্বাভাবিক হলেও, সাধারণভাবে সেক্স নিয়ে মানুষের ‘ট্যাবু’রও অন্ত নেই, কৌতূহলেরও শেষ নেই।
প্রকাশ্যে কথা বলতে বাধলেও যৌনতা বাড়াতে অনেকে ভায়াগ্রা ব্যবহার করেন। অনেকে আবার এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কী হবে ভেবে এ কাজ থেকে বিরত থাকেন। তবে এখন ঘরে বসেই আপনি ভায়াগ্রা বানিয়ে ফেলতে পারেন। কীভাবে, জানাচ্ছি আমরা। প্রথমে জানতে হবে ভায়াগ্রা ঠিক কী ধরনের কাজ করে মানব দেহে। এই ওষুধের মধ্যে অ্যাফ্রোডিসিয়াক প্রপার্টি থাকে, যেমন সিট্রুলিন, লাইকোপেন প্রভৃতি। যা পুরুষদের সেক্সুয়াল পারফরম্যান্স বাড়াতে সাহায্য করে। আমাদের হাতের কাছেই এমন দুই বস্তু রয়েছে যা থেকে সহজেই অ্যাফ্রোডিসিয়াক প্রপার্টি পাওয়া যায় এবং তাও প্রচুর পরিমাণে। প্রথমটি হল তরমুজ এবং দ্বিতীয়টি হল পাতি লেবু।
প্রণালী : প্রথমে তরমুজ ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। মিক্সার বা জুসারের মাধ্যমে তা ক্রাশ করে ফেলুন। তরমুজের খানিকটা সাদা অংশও এর মধ্যে দিয়ে দিন। প্রায় এক লিটার মতো এই জুস দরকার হবে। এর পর তরমুজের রস একটি পাত্রে ঢেলে তা হাল্কা আঁচে ফোটাতে থাকুন। ফুটে উঠলে একটি গোটা পাতিলেবুর রস তাতে দিয়ে দিন। ভালো করে মিশিয়ে নিন। মনে রাখবেন, পাত্রের নীচে যাতে না লেগে যায়, তার জন্য ক্রমাগত মিশ্রণটি নাড়তে থাকুন। আঁচ কমিয়েই রাখুন এবং মিশ্রণটি অর্ধেক হতে দিন। এবার আঁচ থেকে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হলে ভালো করে ছেঁকে একটি পরিষ্কার কাঁচের বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। রোজ সকালে খালি পেটে এবং রাতে খাবার আগে ২ চামচ করে খান। যদি আপনার ওজন বেশি হয়, তবে তা ৩-৪ চামচ পর্যন্ত খান। সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই এর প্রভাব বুঝতে পারবেন। সব বয়সের জন্য একদম নিরাপদ এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন এই হোম মেড ভায়াগ্রা।
স্বাদ বাড়ানোর জন্য চিনি, লবণ এবং অন্যান্য মশলা ব্যবহার করলে এ উপযোগিতা কমে যায়। ফলে প্রাকৃতিক ভাবেই এটা খাওয়া ভালো।
সূত্র: এই সময়
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।